সমস্যা আপনার মার্কেটিং-এ নয়, হতে পারে আপনার ল্যান্ডিং পেইজে!
একটা ল্যান্ডিং পেইজ শুধু একটা ডিজাইন নয় — এটা আপনার ডিজিটাল সেলসপার্সন।
যদি এই ইঞ্জিন ঠিকমতো না চলে, তাহলে হাজার হাজার টাকা মার্কেটিং খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাবেন না।
আমরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য কিছু স্মার্ট পরিবর্তন করে ল্যান্ডিং পেইজের কনভার্সন দ্বিগুণ বাড়াতে পেরেছি।
এই অভিজ্ঞতা থেকে আজ শেয়ার করছি ৬টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যা আপনার ওয়েবসাইটের সেলস গেমই বদলে দিতে পারে:
১. অপ্রয়োজনীয় ইনফো নয়, প্রয়োজনীয় যুক্তি দিন
একজন ভিজিটর ক্লিক করার পর জানতে চায় —
“এই প্রোডাক্টটা এখনই কেন কিনবো?”
অপ্রাসঙ্গিক ইনফো মানেই কনফিউশন = নো সেল!
২. শুধু চোখে পড়ার মতো নয়, মনে রাখার মতো হোক
ডিজাইন সুন্দর হলেই চলবে না — হতে হবে এমন, যা কাস্টমারকে মনে থেকে যাবে।
গল্প বলার স্টাইল, ইউনিক ফ্লো, আর সত্যিকারের ব্র্যান্ডিংই ধরে রাখে কাস্টমারকে।
৩. ধৈর্য কম, স্পিড চায় মানুষ
গুগল বলছে, যদি পেইজ লোড হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে — ৬৭% মানুষ সাইট ছেড়ে চলে যায়।
সাইটের স্পিড নিশ্চিত করতে:
এক সেকেন্ড দেরি মানেই একটা অর্ডার মিস!
৪. সবাই জানে না “Buy Now” মানে কী
সব ইউজারই ডিজিটাল প্রো না। তাই পেইজে এমনভাবে গাইড করুন যেন কেউ চিন্তা না করেই অর্ডার করতে পারে।
সহজ অভিজ্ঞতা = বেশি অর্ডার!
৫. অর্ডার ফর্ম যেন পরীক্ষার প্রশ্ন না হয়
চেকআউট যত সহজ হবে, অর্ডার তত বেশি আসবে।
কাস্টমার যেন এক মিনিটেই অর্ডার করতে পারে — সেটাই লক্ষ্য।
৬. বিশ্বাস না থাকলে বিক্রি নেই
বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় কনভার্সন ফ্যাক্টর।
তাই আপনার ল্যান্ডিং পেইজে রাখুন:
ট্রাস্ট তৈরি করুন, ট্রান্সাকশন আপনা থেকেই আসবে।
একটা ইউজার-ফ্রেন্ডলি, স্ট্র্যাটেজিক ল্যান্ডিং পেইজ মানেই —
একজন ২৪ ঘণ্টা কাজ করা ডিজিটাল সেলসম্যান!
শুধু ডিজাইন নয় — কনভার্ট করার জন্য ডিজাইন চাই?
এই ৬টি পয়েন্ট নিয়ে এখনই ভাবুন।